বিভেক হীনতায় ভরে গেছে যবসমাজ । যে কোন খারাপ কাজে বাধা খাচ্ছে না তারা । যুব সমাজ আজ ভয়ংকর দিকে যাচ্ছে দিন দিন ।তারি প্রতিফলনে বিভিন্ন অপকর্মে জরাচ্ছে তরুনরা ।আজ এরকমি এক অপরাধে জরাল একদল যুবখক যার ফলে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। জানা গেছ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েও বাসের চাপায় শিউলী বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিউলী বেগম উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ মিয়ার স্ত্রী। তিনি মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট মিলের একজন কর্মী ছিলেন বলেও জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাতটার দিকে শিউলী বেগম তার কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসের জন্য উপজেলার চরপাড়ায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কারখানার শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বাস ছেড়ে যাওয়ায় শিউলী বেগম অন্য একটি বাসে উঠেন। এ সময় বাসের মধ্যে যাত্রীবেশী কিছু দুষ্কৃতিকারী শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। তখন তিনি বাস থেকে নামার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কুমারজানী এলাকায় শিউলী বেগম চলন্ত বাস থেকে পড়ে গেলে ওই বাসের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা শিউলী বেওয়া বলেন, ঘটনার কিছু সময় আগে আমি ওই চলন্ত বাসে এক মহিলা যাত্রীকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে শুনেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখান থেকে একটু দূরে চলন্ত বাস থেকে পড়ে নিহত হয় ওই নারী।
এ ঘটনার ব্যপারে মির্জাপুর থানা ওসি এ কে এম মিজানুল হক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।লাশটি ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে বিাসটির সম্পর্কে কেউ সঠিক ধারনা দিতে পারেনি যার জন্য বাস আটক করা যায়নি।